ছবি: সংগৃহীত
শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি মেটাতে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খেতে শুরু করে দেন এই ওষুধটিকে। অথচ প্রতিদিন ঠিক কী পরিমাণ ভিটামিন ডি খাওয়া যাবে বা এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়মই বা কী এই বিষয়ে আমাদের তেমন স্বচ্ছ ধারণা নেই।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরের ভিটামিন ডি- এর ঘাটতি ৭০ ভাগই পূরণ হয় সূর্যের আলো থেকে। বাকি ৩০ ভাগ শরীরে তৈরি করার জন্য আমাদের খাদ্যাভাসে রাখতে হবে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। কোনো কারণে এই প্রক্রিয়ায় শরীরে ভিটামিন ডি উৎপাদন ব্যাহত হলে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ডি খাওয়া শুরু করলে তা শরীরে সুফলের পরিবর্তে হতে পারে ক্ষতির কারণ। ভিটামিন ডি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আমাদের দেহে ত্বক, চুল, হাড় ও হজমে সহায়তা করে। তাই শরীরে এর ঘাটতিতে আপনি যদি শুধু ভিটামিন ডি খেতে শুরু করেন। তবে ভিটামিন ডি তার কাজ সঠিকভাবে করতে ব্যর্থ হয়।
আরো পড়ুন: এই রোদে ত্বক সুরক্ষিত রাখার উপায়
গবেষকরা বলছেন, আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর কার্যকারিতা সঠিকভাবে হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি এর সঙ্গে খেতে হবে ভিটামিন কে-ও। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি এর সঠিক কার্যকারিতা নির্ভর করে ভিটামিন কে এর ওপর। ভিটামিন কে এর উপস্থিতিতে ভিটামিন ডি এর সব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীর শোষণ করতে পারে। কিন্তু ভিটামিন কে এর ঘাটতি থাকলে শুধু ভিটামিন ডি খেয়ে ভিটামিন ডি এর উপকারিতা শরীর গ্রহণ করতে পারে না।
ভিটামিন ডি এর আরেকটি অসুবিধা হলো কী পরিমাণ এই ওষুধ গ্রহণ করা যাবে বা কখন ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিতে হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। অথচ শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর উপস্থিতিও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খেলে রক্তে ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে হাইপারক্যালসিমিয়ার মতো রোগ। বিভিন্ন জটিল রোগ এড়াতে এবং শরীরের ভিটামিন ডি ঘাটতি পূরণের জন্য এই ওষুধ প্রতিদিন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ মাইক্রোগ্রামের সেবন করা যেতে পারে। তবে তার সঙ্গে অবশ্যই খেতে হবে স্বল্প মাত্রার ভিটামিন কে ওষুধটিও। তাই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো খাওয়া শুরু করাটাই এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস/এমএইচডি/ আইকেজে/